ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর গাবতলীতে উত্তরাঞ্চলগামী সব বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রি হচ্ছে সরকারের নির্ধারিত ভাড়ার প্রায় দ্বিগুণ দামে।
৩ জুন, রবিবার বণিক বার্তার এক প্রতিবেদনে এ সব তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়কপথে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের দূরত্ব (ঢাকা-রংপুর-ঠাকুরগাঁও) ৩৯৫ কিলোমিটার। প্রতি কিলোমিটারে সরকারের নির্ধারিত ভাড়া ১ টাকা ৪২ পয়সা।
এই হিসাবে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ের আসনভাড়া ৫৬০ টাকা হওয়ার কথা। তবে ঢাকা-ঠাকুরগাঁও রুটের অগ্রিম টিকেট বিক্রি হচ্ছে আসনপ্রতি ৮০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা।
অার স্বাভাবিক সময়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যেসব বাসের আসনভাড়া ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা ছিল, এখন তা বেড়ে গিয়ে দুই-আড়াই হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে কুষ্টিয়া, বাগেরহাটসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী সব বাসেই ঈদ উপলক্ষে আসনপ্রতি ১০০-২৫০ টাকা পর্যন্ত বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান ও সোহাগ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক তালুকদার বলেন, ‘ঈদের সময় দূরপাল্লার রুটগুলোয় একমুখী যাত্রী পাওয়া যায়। ফলে ফেরার পথে বেশির ভাগ বাসের সিংহভাগ আসন ফাঁকা থাকে।’
অথচ যাওয়া-আসার পরিচালন ব্যয় একই রকম। আবার যানজটের কারণে ৭-৮ ঘণ্টার একটি ট্রিপ শেষ করতে ১৫-১৬ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় লেগে যায়। এ কারণেও পরিচালন ব্যয় বাড়ে। এসব কারণে ঈদযাত্রায় যাত্রীপ্রতি ভাড়া কিছুটা বাড়ানো অস্বাভাবিক নয়।’
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘প্রতি ঈদেই বাস মালিকরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করেন। এবছরও তাই করা হচ্ছে বলে গত কয়েক দিনে অসংখ্য অভিযোগ এসেছে। ঈদে বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ যথাযথ ভূমিকা পালন করছে না।
বিআরটিএর নীরব ভূমিকা অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে এক প্রকার প্রশ্রয়ই দিচ্ছে। ঢাকায় তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের সংখ্যা নয়টির মতো। বাস কাউন্টারগুলো নির্দিষ্ট জায়গাতে হওয়ায় সিংহভাগ কাউন্টারে সহজেই অভিযান চালাতে পারে বিআরটিএ।’
গত ৩০ মে, বুধবার থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী দূর পাল্লার বাসের অগ্রিম ঈদ টিকেট বিক্রি শুরু হয়। ওই দিন ১৩ ও ১৪ জুনের বেশির ভাগ টিকেট বিক্রি হয়ে যায়। ফলে পরের দিন ১৩ ও ১৪ জুনের কাঙ্ক্ষিত টিকেট পাননি অনেক যাত্রী।